আমরা আজ থেকে অনেক বছর আগে ফিরে তাকায়। ১৯৭১ সাল, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করি । নতুন ভোরের নতুন সূর্য ঊদয়ের সাথে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশ জন্ম নেয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সবথেক বেশি অবদান যার তিনি হলেন বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে সাড়া দেয় হাজারো ছাত্র, যুবসমাজ, স্কুল কলেজ থেকে শুরূ করে সকল পেশার মানুষ যোগদান করে এই মরণ যুদ্ধে। তৎকালীণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অসামান্য অবদান রয়েছে এই স্বাধীনতা যুদ্ধে। পর্যায়ক্রমে দিন বদল হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন। এভাবে চলতে চলতে চলে আসল ২০১৯ । এত বছর ধরে দেশে ছাত্ররা চলেছে গৌরবের সাথে, চলেছে দাপটের সাথে । তাহলে আজ কেন সাধারন মানুষ ছাত্রদের বিরোধিতা করছে? কেন স্লোগান দিচ্ছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করূন। পূর্বে তো কখনো মানুষ ছাত্র রাজনীতির বিরোধিতা করেনি, আজ কেন করছে? কারন -
বঙ্গবন্ধুর সময় ছাত্র রাজনীতিতে ছিলোনা কোন সন্ত্রাস, ছিলোনা জঙ্গিবাদ, রাহাজানি, ছিনতাই, মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত। ছিলো শান্তিপূর্ন ছাত্র রাজনীতি।
শহীদ জিয়ার আমলে ছিল শান্তিপূর্ন ছাত্র রাজনীতি। তাদের সময় কোন বিশ্বজিৎ দিনে দুপুরে কুপিয়ে মারা হয়নি, হত্যা করা হয়নি রাতের আধারে কোন আবরার কে। কিন্তু এখন কেন এসব হচ্ছে? প্রশ্নবিদ্ধ বাঙালী। আজ ক্ষমতাসীন দলের দাপটে ছাত্রলীগ কেন করছে এই ধরনের সহিংসতা? কেন হত্যা করা হল আবরার কে। আবরার অপরাধ কি এটাই ছিল স্বাধীন দেশে সে স্বাধীনভাবে কথা বলেছে।
স্বাধীন ভাবেই যদি কথা বলতে না পারি তাহলে কি দরকার ছিলো দেশ স্বাধীন করার। যে দেশে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র সে দেশের ছাত্রদের হাতে কলম মানায় না। বিশ্বের সব প্রান্তে ছাত্র রাজনীত হচ্ছে শান্তিপূর্ন রাজনীতি আর বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি সব থেকে জঘন্য রাজনীতি। যেই ছাত্র রাজনীতিতে কোন শান্তি নেই, যেই ছাত্র রাজনীতি তাজা জীবন কেড়ে নেই বাংলার মাটিতে দরকার নেই।
আর নয় ছাত্র রাজনীতি
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে করে দাও।
ছাত্র রাজনীতি উদঘাটন করত হবে করে দাও।
Go ahed
ReplyDelete